আইন বিভাগের এলএলবি (অনার্স)-এর ৪৮ ও ৪৯ তম ব্যাচের নবীন বরণ ও ৩৬ তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ অডিটোরিয়ামে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের এলএলবি (অনার্স)-এর ৪৮ ও ৪৯ তম ব্যাচের নবীন বরণ ও ৩৬ তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ০৪ জুন ২০২২, শনিবার, সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর এ কে এম তফজল হক, প্রক্টর আহমদ রাজীব চৌধুরী ও আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অনুপ কুমার বিশ্বাস। আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মিসেস তানজিনা আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. অনুপম সেন নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগতম জানিয়ে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা যখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলে, তখন করোনা মহামারী না থাকলেও, পরবর্তীতে তোমাদের অধ্যয়নের দুটি বছর করোনা সংক্রমণের ভেতর দিয়ে গেছে। তখন পুরো বিশ্ব করোনার আতঙ্কে ভয়াবহ অস্থির ছিল। কিন্তু প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি তখনও অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছিল। আমার বিশ্বাস, তোমরা এসময়ে আইন শিক্ষা যথাযথভাবে গ্রহণ করেছো।
তিনি পদ্মাসেতু সম্পর্কে বলেন, মাননীয় প্রধামন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন, সততা ও দৃঢ় নিষ্ঠা ছিল বলে সকল বাধা অতিক্রম করে পদ্মাসেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত জীবনে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যেতে আহ্বান জানান এবং বলেন, শত বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে নিজেকে অপরাজিত ভাবতে হবে, জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আইন সম্পর্কে বলেন, বর্তমান সভ্য সমাজের প্রধানতম ভিত্তি আইন। তিনি আইনকে প্রাচীন বিষয় উল্লেখ করে বলেন, যখন রাষ্ট্র ছিল না, আইন ছিল না, তখন প্রথার মাধ্যমে সমাজ চলেছে। নৃ-গোষ্ঠীরা প্রথার মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান করেছে। এখনও আফ্রিকা, আমেরিকা ও এই উপমহাদেশে নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের আইন নেই। প্রথার মাধ্যমে তারা সমাজ চালায়।
ড. অনুপম সেন আরও বলেন, মানুষের প্রয়োজনে, মানবতার প্রয়োজনে প্রাচীনকাল থেকে নতুন নতুন আইন সৃষ্টি হচ্ছে। আজকের মেরিটাইম ল, সাইবার ল হলো নতুন নতুন আইন। ভবিষ্যতেও নতুন নতুন বিষয়ে নতুন নতুন আইন তৈরি হবে।
সহকারী অধ্যাপক হুমায়রা নওশিন উর্মির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা বলেন, আজকে আমার মিশ্র অনুভূতি কাজ করছে। একদিকে নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য আমি আনন্দিত ও অন্যদিকে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য বেদনাহত। কিন্তু কিছু করার নেই। নতুনদের বরণ করা ও পুরনোদের বিদায় দেওয়া নিয়ম। আমি কামনা করি, বিদায়ী শিক্ষার্থীরা কর্মজীবনে সফলতা অর্জন করবে ও নবীনরা তাদের অনুসরণ করে এগিয়ে যাবে। নবীনদের মনে রাখতে হবে, তারা দেশ ও জাতির ভবিষ্যত।
ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক বলেন, আইন পড়ে অ্যাডভোকেট ও বিচারক হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। আইন পড়ে আরও বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এসব পেশায় যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তিনি বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হতে হবে।
প্রক্টর আহমদ রাজীব চৌধুরী নবীন শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা মেনে চলার আহ্বান জানান।
সহকারী অধ্যাপক অনুপ কুমার বিশ্বাস আইন বিভাগের সাফল্যের ইতিহাস বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।