প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, বাঙালিরা শতাব্দীর পর শতাব্দী পরাধীন ছিল। ইংরেজরা প্রায় ১৯০ বছর এদেশকে পরাধীন করেছিল, শোষণ করেছিল। তারা ১৭৫৭ সালে এদেশকে দখল করার পর মাত্র তিন বছরের মধ্যে তৎকালীন ৫০০ কোটি পাউন্ডের সম্পদ এদেশ থেকে পাচার করেছিল ইংল্যান্ডে। ইংরেজদের পরে এদেশকে পরাধীন করে পশ্চিম পাকিস্তান। ১৯৪৭-৭১ পর্যন্ত প্রায় ২৩ বছর পশ্চিম পাকিস্তান বাংলাদেশকে নির্মমভাবে শোষণ করেছে। এদেশের অর্থে পশ্চিম পাকিস্তান ও সেখানকার জনগণের জীবন-মানের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে; সেখানে নির্মিত হয়েছে তারবেলা বাঁধ; গড়ে উঠেছে করাচি, রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদ; পুষ্ট হয়েছে শিল্পখাত, সেবাখাত ও কৃষিখাত। এভাবে শোষণের শিকার হয়ে বাংলাদেশ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়েছে। এই শোষণ থেকে মুক্তির জন্য ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা ঘোষণা করেন। তারই পথ ধরে সূচিত হয় মুক্তিযুদ্ধ, অর্জিত হয় বিজয়।
১৬ ডিসেম্বর ২০২০, নগরীর জিইসি মোড়স্থ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর প্রাক্কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ‘স্বাধীনতা ও বিজয়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধে তিরিশ লক্ষ বাঙালিকে প্রাণ দিতে হয়’ উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার জন্য এত লোকের প্রাণ বিসর্জনের নজির পৃথিবীতে আর নেই। তিনি বলেন, এদেশে পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণের ইতিহাস, স্বাধীনতার জন্য এদেশের মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিবৃত্ত নতুন প্রজন্মের জানা প্রয়োজন। তাহলে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে, দেশের স্বার্থে কাজ করতে তারা অনুপ্রাণিত হবে।
উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করার পরে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ কর্তৃক পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের প্রফেসর অমল ভূষণ নাগ, প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন এম. মঈনুল হক, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইফতেখার মনির, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান তানজিনা আলম চৌধুরী, তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিক, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন চীফ ইঞ্জিনিয়ার ও উপাচার্যের উপদেষ্টা জনাব মো. আবু তাহের, রেজিস্ট্রার জনাব খুরশিদুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জনাব শেখ মুহাম্মদ ইব্রাহিম এবং ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান জনাব কাউসার আলম প্রমুখ।