প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগে বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান ।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের বিএসসি ইন ইইই ৩৫, ৩৬তম ব্যাচের বরণ এবং ২৭, ২৮, ২৯তম ব্যাচের বিদায় উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১০ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, সকাল ১১.৩০টায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অনারারি প্রফেসর এন্ড ফাউন্ডিং চেয়ারপার্সন ড. খন্দকার সিদ্দিক-ই-রাব্বানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল অনুষদের সহযোগী ডিন প্রফেসর ড. সাহীদ মো. আসিফ ইকবাল ও ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার জনাব মো. ইফতেখার মনির।
ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর এই বিশ্বে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। নবাগত শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, তারা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চমৎকার একাডেমিক পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের যোগ্যতা ও দক্ষতাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করে। কেবল বইয়ের জ্ঞান নয়, বাস্তবমুখী শিক্ষা ও নৈতিকতার সমন্বয়েই একজন প্রকৃত প্রকৌশলী হয়ে ওঠা সম্ভব। বিদায়ী শিক্ষার্থীদের আমি অভিনন্দন জানাই। তাদের অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তারা দেশ ও বিশ্বের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আলো ছড়াবেন—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে অনেক শিক্ষিত লোক আছে, যারা পশুর চেয়েও অধম। আমি চাই, এই ইউনিভার্সিটি থেকে আমাদের শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষিত হয়ে, মানুষের মতো মানুষ হয়ে বের হবে। তিনি আশা পোষণ করেন, ইইই বিভাগের বিদায়ী শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে অবদান রেখে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ও ইইই বিভাগের সুনাম সর্বত্র ছড়িয়ে দেবেন।
ইইই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন মুন্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. খন্দকার সিদ্দিক-ই-রাব্বানী বলেন, জীবনটাকে সফল করতে হবে, এই ভাবনা সামনে রেখেই কাজ করা উচিত। তিনি উল্লেখ করেন, ইঞ্জিনিয়ারিং একটি সৃজনশীল পেশা। সঠিক দিকনির্দেশনা ও গবেষণার মনোভাব নিয়ে কাজ করলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বমানের উদ্ভাবক হতে পারে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. সাহীদ মো. আসিফ ইকবাল বলেন, ইইই বিভাগ তার শিক্ষার্থীদের শুধু পেশাগত নয়, মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে। তিনি শিক্ষার্থীদের গভীরভাবে অধ্যয়নের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ইথিক্যাল হও, সত্যবাদী হও, বিনয়ী হও। নৈতিক ও মানবতাবাদী হয়ে পৃথিবীর কল্যাণে নিয়োজিত হও।
সভাপতির বক্তব্যে ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিক বলেন, ইইই বিভাগ যাদের আজ বিদায় জানাচ্ছে, তারা যেন এই বিভাগের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখেন। নবাগতরা যেন সেই ধারা সমুন্নত রাখে।
অনুষ্ঠানে প্রক্টর মো. সোলাইমান চৌধুরী ও ডিরেক্টরেট অব স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ারের অ্যাডভাইজার ড. আবদুর রহিম উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন ইইই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। বরণ ও বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
Related News
Conclusion of the Five-Week Boot Camp on ‘Machine Learning and Artificial Intelligence’ at Premier University